৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, রাত ১০:২৩

গর্ত-খানা-খন্দকে ভরা ॥ ভোগান্তি চরমে

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

প্রাইম নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও দীর্ঘদিন অবহেলা ও অযত্নের স্বীকার আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কটির চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় থেকে নাগবাড়ী পর্যন্ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে বেশ কয়েকটি খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ার কারণে এ ভাঙ্গাচোরা সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে, মাঝে মাঝেই বিকল হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।

জানা যায়, আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কের ২ নং রেল গেট থেকে চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় পর্যন্ত বেশ ভালো আছে। সেখান থেকে নাগবাড়ী মোড়ের আগ পর্যন্ত ১৬ নং ওয়ার্ডের সীমানা প্রাচীরের শেষ দিক পর্যন্ত বেশ কয়েক জায়গায় ভাঙ্গাচোরা আছে। সড়কটির সবচেয়ে বেশী খারাপ অবস্থা নাসিকের নব-নির্মিত ভবনগুলোর সামনে থেকে পানির টাংকি মোড় পর্যন্ত। সড়কের শুধু এতটুকু অংশেই কমপক্ষে ৩০-৪০টি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও জানা যায়, এ গর্তগুলোর অধিকাংশই সৃষ্টি করেছেন আশেপাশের বাড়িওয়ালা। তাদের নিজ নিজ বাড়িতে গ্যাস, পানির লাইন নিতে গিয়ে পাশাপাশি সড়কটির বেশ কয়েকটি স্থানে কেটে ফেলে কাজ করেন তারা। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পর তারা সেই রাস্তার কথা ভুলে যান এবং নূন্যতমভাবে সেই রাস্তাটি আর পুনরায় মেরামত করা হয় না। ফলে কেটে ফেলা প্রতিটি অংশে বেশ কয়েকটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সড়কদিয়ে চলতে গেলে মানুষের ভাঙ্গে কোমর, দোলে যানবাহন।

স্থানীয়রা জানায়, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কেটে বাড়িওয়ালাদের বাড়িতে গ্যাস পানির লাইন নেয়ার পর তা মেরামত না করার কারণে এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার কারণে মানুষ ও যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে উনারা সংস্কার করে দিবে বললেও এই পর্যন্ত কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে তাদের চোখে দৃশ্যমান হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে এ সড়কে হেলে দুলে যান চলতে দেখা যায়। এতে রিকশাচালক ও যাত্রীরা যন্ত্রণার মধ্যে পড়ে যান। এ নিয়ে চরম বিরক্তি প্রকাশ করে যাত্রী ও চালকরা। বৃষ্টির পানির কারণে গর্তের আকার বোঝা যায় না বলে অনেক ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়তে হয় জনসাধারণের। কখনো কখনো যান বিকল হয়ে যাওয়ার কথাও জানান চালকরা।

রিকশা চালক মুনছুর আলী বলেন, পানির টাংকি এলাকার এ অংশে সড়ক ভালো অবস্থায় নেই। সড়কটি যান চলাচলের অনুপোযোগী। এ সড়কে রিকশা চালাতে গিয়ে রিকশার যন্ত্রপাতি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বলে জানান তিনি।

ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা চালক নয়ন বলেন, ২ নম্বর রেল গেট থেকে দেওভোগ মাদ্রাসা পর্যন্ত গাড়ী চালাই আমরা। তবে সড়কের এ স্থানটিতে আসলে শরীরের ১২টা বেজে যায়। আমরা তো অনেক কষ্টে টেনেটুনে গাড়ি নিয়ে পাড় হতে পারি, তবে পায়ে চালানো রিকশা গুলো মাঝে মাঝেই এসব গর্ত থেকে রিকশা উঠানো সম্ভব হয় না।

পানির টাংকি এলাকা বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমাদের আবাসিক এলাকাটিতে নগরীর মধ্যে। আমরা নিয়মিত খাজনাও পরিশোদ করি, তবে অন্যান্য এলাকার তুলনায় আমরা সুবিধা পাই কম। গত কয়েক বছরে এ সড়কে কোনো কাজ করা হয়নি। যে কারণে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ বিভা হাসানের কাছে সড়কটির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কটি এখনও টেন্ডার হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই টেন্ডার হবে এবং চলতি অর্থ বছরে কাজ সম্পূর্ণ করার আশ্বাসও দেন।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.